স্বদেশ ডেস্ক: প্রথমবার পার্লামেন্টে একজন নারী স্পিকার নির্বাচিত করেছেন ইন্দোনেশিয়ার এমপিরা। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট মেগাবতী সুকর্নপুত্রীর মেয়ে পুয়ান মহারানী নক্ষত্র কুশ্যিলা। মঙ্গলবার সেখানে প্রতিনিধি পরিষদের (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) সদস্যদের শপথ বাক্য পাঠ করানোর পর তাকে নির্বাচিত করে নতুন পার্লামেন্ট। সর্বসম্মত ভোটে তিনি স্পিকার নির্বাচিত হন। এ সময় পার্লামেন্টে ৯টি রাজনৈতিক দলের ৫৭৫ জন রাজনীতিক উপস্থিত ছিলেন। ওদিকে বেশ কিছু নতুন আইন ও প্রস্তাবিত আইনের বিরুদ্ধে কয়েকদিন ধরেই দেশে অব্যাহতভাবে বিক্ষোভ চলছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা।
ইন্দোনেশিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি অব স্ট্রাগল-এর একজন সদস্য পুয়ান মহারানী। এই দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন তার মা মেগাবতী সুকর্নপুত্রী। পার্লামেন্ট এই দলটি সবচেয়ে বড়। সংক্ষেপে ইন্দোনেশিয়ায় এ দলটি পরিচিত পিডিআই-পি নামে। পার্লামেন্ট স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পরে পুয়ান মহারানী বলেছেন, ৭০ বছর পরে এটাই প্রথম নারী স্পিকার। আমি আশা করি এটা আমার জন্য একটি অনুপ্রেরণা হবে। উল্লেখ্য, পুয়ান মহারানীর বয়স ৪৬ বছর। তিনি প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদার মন্ত্রীপরিষদে মানব উন্নয়ন ও সংস্কৃতি বিষয়ক সমন্বয়কারী মন্ত্রী ছিলেন। এরপর নির্বাচনের জন্য ওই পদ ত্যাগ করেন তিনি।
নতুন পার্লামেন্টের এমপিদের ও সরকারকে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে বেশ বড় চাপ অনুভব করতে হবে। রয়েছে প্রস্তাবিত একটি নতুন ক্রিমিনাল কোড, খনি, স্থল ও শ্রমিক বিষয়ক বিল। এসব নিয়ে জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। বেশ কিছুদিন ধরে সেখানে বিক্ষোভ চলছে এর বিরুদ্ধে। অন্যদিকে ইন্দোনেশিয়ার পার্লামেন্টের সিনেট হিসেবে পরিচিত রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল তার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেছে লা নিয়ালা মাহমুদ মাত্তালিত্তিকে। এই পরিষদে রয়েছে ১৩৬টি আসন।
দেশটি দু’কক্ষ বিশিষ্ট। একটি হলো নিম্নকক্ষ, যা পরিচিত হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে। অন্যটি হলো উচ্চকক্ষ, যা পরিচিত রিজিওনাল রিপ্রেজেন্টেটিভ কাউন্সিল হিসেবে। এর মধ্যে সিনেট বলে পরিচিত উচ্চকক্ষ শুধু প্রস্তাব করে এবং বিলের বিষয়ে উপদেশ দেয়। তা অনুমোদন করে নিম্নকক্ষ। এই নিম্নকক্ষ অধিক শক্তিশালী।